টেস্ট স্কোয়াড ছেড়ে ডিপিএলে কেন তিন ক্রিকেটার?

Azmal Tanjim Shakirপ্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে - 2018-02-10T19:44:44+06:00
আপডেট হয়েছে - 2018-02-10T19:44:44+06:00
ঢাকা টেস্টের জন্য ঘোষিত স্কোয়াড ছিল ১৫ জনের। একাদশের বাইরে থাকা চার জন ক্রিকেটার হলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, কামরুল ইসলাম রাব্বি,
এবং তানভীর হায়দার। এর মধ্যে তিন ক্রিকেটারকেই টেস্ট চলাকালীন সময়ে দেখা গিয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলতে। স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার একাদশে সুযোগ না পেলে দেখা যায় ডাগ আউটে।
কোনো ফিল্ডার চোট পেলে নামা কিংবা নতুন ব্যাট, হেলমেট, পানির বোতল বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস আনা-নেওয়া করেন তারা। একাদশে না থাকলেও দেখা যায় টিমের সাথে। তবে মোসাদ্দেক, রাব্বি এবং নাঈমের টিম ছেড়ে ডিপিএল খেলা জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের।
প্রশ্নের শুরুটা মোসাদ্দেক হোসেনের একাদশে জায়গা না পাওয়া থেকে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর করতে পারেননি। আউট হয়েছিলেন বাজে সময়ে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছিলেন দারুণ। ইনিংসে যদিও রান করেছিলেন মাত্র ৮ কিন্তু মিটিয়েছিলেন পরিস্থিতির চাহিদা। অল্প সময়ের ব্যবধানে
এবং লিটন দাসকে হারিয়ে বিপদে পড়া
ের দরকার ছিল মাটি কামড়ে আগলে থাকা। মোসাদ্দেক সেটিই করেছিলেন। ৫৩ বল টিকে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৮ রানের ইনিংস হলেও তার গুরুত্ব ছিল অনেক। এরপরেও দ্বিতীয় টেস্টে মোসাদ্দেকের বাদ পড়াতে বিস্মিত হয়েছে অনেকেই।
মোসাদ্দেকের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া সাব্বির রহমান ছিলেন পুরোপুরি নিষ্প্রভ। ব্যাট হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ১ রান। স্লিপে ক্যাচ ছেড়েছেন বেশ কয়েকটি।
একাদশে না থাকলেও দলের সঙ্গে ছিলেন না মোসাদ্দেক। এটি আরো অবাক করেছে সবাইকে। শুক্রবার শুরু হয় দ্বিতীয় টেস্ট। শুক্রবার মোসাদ্দেক ব্যস্ত ছিলেন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে আবাহনীর হয়ে খেলছিলেন তিনি। প্রথম টেস্টে কার্যকরী ভূমিকা রাখার পরেও বাদ পড়া মোসাদ্দেক আলো ছড়িয়েছেন ডিপিএলে। ব্যাটিংয়ে ৪০ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে শিকার করেছেন এক উইকেট।
আবাহনীর কমিটির অনেক সদস্যই বিসিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। এছাড়া বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকদের অনেকেই জড়িত আবাহনীর সাথে। তাই প্রশ্নটা উঠছে একটু বেশিই। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোও এ বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে এদিকে আলোকপাত করেছে।
প্রতিবেদনে লেখা হয়,
"মোসাদ্দেকের ঘটনাটি গভীর বিবেচনার দাবি রাখে। পাশাপাশি জাতীয় দলের ওপর ক্লাবের প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে মোসাদ্দেক খেলে আবাহনীর হয়ে যে ক্লাবের সম্পর্ক আছে বিসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।"
বিসিবি সভাপতি, পরিচালক জালাল ইউনুস এবং ইসমাইল হায়দার মল্লিকের আবাহনীর সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি উল্লেখ করেছে তারা। যদিও বিসিবির এক কর্মকর্তা তাদের জানিয়েছে আবাহনীর সাথে এ ঘটনার কোনো যোগসূত্র নেই।
শুধু মোসাদ্দেক নয়, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স বনাম শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে মাঠে নামেন কামরুল ইসলাম রাব্বি এবং নাঈম হাসান।
দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন তানভীর হায়দার। এছাড়া ডাগআউটে থাকা ক্রিকেটারদের কাজ করেছেছেন অনূর্ধ্ব- ১৯ দলের দুই ক্রিকেটার। দুইজন ক্রিকেটার চোট পেলে ফিল্ডার হিসেবে কাকে নামাতো বাংলাদেশ? এ বিষয়টির উদয় হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় হয়নি।