বাশারের চোখে বাংলাদেশের সেরা টেস্ট একাদশ

Azmal Tanjim Shakirপ্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে - 2020-06-03T12:32:31+06:00
আপডেট হয়েছে - 2020-06-03T13:04:22+06:00
বাংলাদেশ হয়ে ৫০ টেস্ট খেলেছেন হাবিবুল বাশার সুমন। প্রায় তিন বছর ধরে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। ক্রিকেটজীবনে যাদের সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন তাদের নিয়ে সেরা টেস্ট একাদশ গঠন করেছেন তিনি যা প্রকাশিত হয়েছে ইএসএপিএন ক্রিকইনফোর দ্যা ক্রিকেট মান্থলিতে।

ওপেনার হিসেবে রেখেছেন
ও জাভেদ ওমর বেলিমকে। তামিমের গত ১৩ বছরের পারফরম্যান্স তার হয়ে কথা বলছে বলে মনে করেন সুমন। যেকোনো বোলিং আক্রমণ মোকাবেলা করার ক্ষমতা তামিমের রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।





তামিমের ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে জাভেদকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, "মেহেরাব হোসেন এবং শাহরিয়ার হোসেনও আমার পছন্দে ছিল। কিন্তু তারা তাদের জায়গা ধরে রাখতে পারেনি। ওমর ৪০ টেস্ট খেলেছে।" নাফীস ইকবাল এবং শাহরিয়ার নাফীসের প্রশংসা করলেও জাভেদ ওমরের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের সামর্থ্যের কারণে তাকেই বেছে নিয়েছেন সুমন।
তিনে তিনি বেছে নিয়েছেন আল শাহরিয়ারকে। নির্বাচকদের অধৈর্য্যের কারণে শাহরিয়ার তার সম্ভাবনার পুরোটা দিতে পারেননি বলে মনে করেন সুমন। বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হয়েছিল তার।





চার নম্বরে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও মোহাম্মদ আশরাফুল বিবেচনায় আসলেও তাদের ছাপিয়ে জায়গা পেয়েছেন
। উইকেটরক্ষকও থাকবেন তিনি। সুমনের মতে মুশফিক সব কন্ডিশনে বড় স্কোর করার সামর্থ্য রাখে।
পাঁচ নম্বরে বেছে নিয়েছেন সাকিব আল হাসানকে। শুরুর দিকে সাকিব বোলিংয়ে ছিলেন পার্ট টাইমার। ধীরে ধীরে বোলিংয়ে হয়েছেন নিয়মিত। বোলিংয়ে মনোযোগ কম দিলে সাকিবের আরো টেস্ট শতক থাকত বলে মনে করেন সুমন।
ছয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে রেখেছেন সুমন। তাকে নির্বাচিত করেছেন অধিনায়কও। বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে তার ১৪৫ রানের ইনিংস এবং প্রথম সফরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অর্ধশতক প্রমাণ করে তখন বাংলাদেশ দলে কতটা ভালো ব্যাটসম্যান ছিলেন বুলবুল।
সাতে বাশারের পছন্দ আফতাব আহমেদ। বাশার বলেন, "
আরেকটি মেধার অপচয়। তার ক্যারিয়ারটাও আরো লম্বা হতে পারত। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের ভয়ঙ্কর বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ডারহামে ৮২ রান করেছিল। টেস্টে ৬ বা ৭ নম্বরে তার ব্যাটিংয়ের সক্ষমতা আছে।"
more
বোলিং আক্রমণে রেখেছেন তিন পেসার ও এক স্পিনার। ক্লান্তিহীনভাবে বোলিং করে যাওয়া স্পিনার মোহাম্মদ রফিককে রেখেছেন সুমন। স্মৃতিচারণ করে বলেন, "যখনি উইকেট দরকার ছিল। রফিককে দিয়ে চেষ্টা করেছি।" পেসার হিসেবে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তাজা, তাপস বৈশ্য এবং শাহাদাত হোসেন রাজীব।