‘অপেক্ষা’র যে রেকর্ডে আরিফুল দ্বিতীয়

Siam ChowdhurySenior Sub-Editor
প্রকাশিত হয়েছে - 2018-11-03T18:55:06+06:00
আপডেট হয়েছে - 2018-11-03T18:55:06+06:00
রেকর্ড বইয়ের পাতায় নাম লেখাতে কার না ভালো লাগে! তবে সব রেকর্ড অর্জনের পথটা হয় না সুখকর। শনিবার (৩ নভেম্বর) নিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমে এমনই এক রেকর্ডে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন অলরাউন্ডার আরিফুল হক।
[caption id="attachment_61007" align="aligncenter" width="521"]

সিলেট টেস্টে বল করছেন আরিফুল হক। ছবি: বিডিক্রিকটাইম
বিডিক্রিকটাইম এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।[/caption]
আলোচিত সিলেট টেস্ট আরিফুলের অভিষেক টেস্ট হলেও এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে আরিফুল খেলেছেন ৬টি টি-২০ ও ১টি ওয়ানডে ম্যাচ। অবশ্য যেদিক থেকে আরিফুল রেকর্ড গড়েছেন, সেটি অপেক্ষার এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়, বিবেচ্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট।
২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠ মাতাচ্ছেন। ২০০৬ সালের নভেম্বরে বরিশাল বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এরপর টেস্ট অভিষেকের আগে সুদীর্ঘ ১২ বছরে খেলেছেন ৭৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। এখানেই আরিফুলের রেকর্ড। সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে টেস্ট অভিষেক হওয়ার রেকর্ড; যেখানে আরিফুল দ্বিতীয়।
আরিফুলের আগে যে নাম সেটিও বেশ পরিচিতই- নাজিমউদ্দিন। ৩৩ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ার মাত্র ৩টি টেস্টের পর আটকে গেলেও দীর্ঘ অপেক্ষার পর টেস্ট অভিষেকের বিচারে তিনিই রয়েছেন শীর্ষে। ২০০১ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যাত্রা শুরুর পর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে নাজিমউদ্দিন যখন তার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলেন, ততদিনে তিনি খেলে ফেলেছেন ৮১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ।
এই অপেক্ষার রেকর্ডে কেউই সামিল হতে চায় না, তবুও এই তালিকার শীর্ষ ১০ ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছেন বেশ কজন স্বনামধন্য এবং বর্তমানে মাঠ কাঁপানো ক্রিকেটার। নাজিমউদ্দিন ও আরিফুলের পরের নামটি শামসুর রহমান, টেস্ট তার অভিষেক ঘটেছিল ৬৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পরে। তার চেয়ে ৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কম খেলে টেস্ট অভিষেকের স্বাদ পেয়েছিলেন মার্শাল আইয়ুব। সিলেট টেস্টে প্রথম বল করা পেসার
চৌধুরী রাহী সর্বশেষ উইন্ডিজ সফরে অভিষেকের আগে খেলেছেন ৬২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ।
রাহীর পরে যিনি সেই স্পিনার সানজামুল ইসলাম টেস্ট অভিষেকের আগে ৬০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলামও টেস্ট অভিষেকের আগে খেলেছেন সমানসংখ্যক চারদিনের ম্যাচ। এছাড়াও হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান খ্যাত জিয়াউর রহমান ৫৮টি, অভিষেকের রেকর্ড গড়া স্পিনার ইলিয়াস সানি ৫৬টি এবং বর্তমান স্কোয়াডের স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ৫৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পর পেয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটের স্বাদ।
আরও পড়ুন: মুশফিকের ছোঁয়া পেতে মাঠে ক্ষুদে ভক্ত!