‘টেনশন করিস না’ বলাতেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সৌম্য

Tariqul IslamEditor
প্রকাশিত হয়েছে - 2020-05-17T11:05:51+06:00
আপডেট হয়েছে - 2020-05-17T11:05:51+06:00

লঙ্কানদের ভাষায় নিদাহাস মানে স্বাধীনতা। দেশটির স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৮ সালে নিদাহাস নামে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করে শ্রীলঙ্কা। সেখানে পুরো টুর্নামেন্টেই নিজেদের আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশ দল। তবে ফাইনালে আর পেরে উঠেনি তারা।




আগে ব্যাট করে ভারতের সামনে ১৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়
ের দল। বোলিংয়েও বেশ অপ্রতিরোধ্য ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে শেষ দুই ওভারে ৩৪ রান প্রয়োজন পড়লে ১৯তম ওভারে বল করতে এসে ২২ রান দিয়ে বসেন রুবেল হোসেন। শেষ ওভারে ১২ রান আটকাতে সৌম্যর প্রতি আস্থা রাখেন সাকিব।
বলহাতে অনিয়মিত সৌম্য নিজের প্রথম তিনটি বল বেশ ভালোই করেছিলেন। সেটাই যেন সর্বনাশ ডেকে আনলো। পরবর্তীতে সতীর্থরা যখনই বললেন, তুই পারবি, টেনশন করিস না। তখনই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সৌম্য।
ের সাথে সরাসরি ভিডিও আড্ডার সময় সেই ম্যাচের শেষ ওভারের স্মৃতিচারণ করেন তিনি।





যেখান সৌম্য বলেন,
‘প্রথম যখন আমাকে বল দিয়েছে তখন আমার মধ্যে এতকিছু (চিন্তাভাবনা) ছিল না। শুধু মাথায় ছিল যে আমার একটা ওভার বোলিং করতে হবে। এর আগে আমি যখন প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ বছর খেলেছিলাম, তখন আমাকে যখন কঠিন সময়ে বল দিত, ধরেন এক ওভারে লক্ষ্য ৮ রান। এর বেশি না।’
‘আমার কাছে নিদাহাস ট্রফির শেষ ওভারেও সেই বিষয়টি মনে পড়েছে। আমি যখন প্রথম তিন বল করেছি তখন কিছু মনে হয়নি। হেরে যাব নাকি জিতে যাব, আমার মাথায় এসব কিছুই ছিল না। আমার খালি পরিকল্পনা ছিল যে এক জায়গায় বল করবো। এরপর সবাই বলছে তুই পারবি।’
- সাথে যোগ করেন তিনি।
তুই পারবি, টেনশন করিস না। এটা শোনার পরেই ঘাবড়ে যান সৌম্য,
‘এরপর আমি পানি আনতে বলি। মুখটা ধোয়ার পর কয়েকজন পাশে এসে বলে তুই পারবি, টেনশন করিস না। তখনই আমার মধ্যে টেনশন ঢুকে গেছে যে পারবো কীনা! চার নম্বর বলটি যখন সবচেয়ে ভালো করলাম যেটা চার হয়ে গেল থার্ডম্যান দিয়ে।’
‘তখন সাকিব ভাই দৌড়ে এসে বলে, তোর হিরো হওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু জিরো হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তুই প্রধান বোলার না। তুই যদি বাংলাদেশকে জেতাতে পারিস তাহলে হিরো হবি। এটা মাথায় নিয়ে আমি পাঁচ নম্বর বল করতে গিয়েছি। সেই বলে মনে হয় আউট করেছিলাম বিজয় শঙ্করকে। সাব্বির এবং মিরাজ মিলে ক্যাচটি ধরেছিল।
’- আরও জানান তিনি।
তবে সৌম্যর কাছে মনে হয় সেই ক্যাচটি না নিলে দীনেশ কার্তিক স্ট্রাইকে যেতে পারতেন না। তাতে ফলাফলও হয়তো ভিন্ন হতে পারতো। তবুও যখন দেখলেন শেষ বলে ৫ রান প্রয়োজন। তখন সর্বোচ্চ ৪ রান দিয়ে যাতে ম্যাচটা টাই করা যায় সেই চিন্তাও করেছিলেন সৌম্য। স্টাম্পের অনেক বাইরে বল করলেও তা ছক্কায় পরিণত করে ম্যাচ জিতে নেন কার্তিক।
সৌম্য বলেন,
‘পরে আমার কাছে মনে হয়েছে যে ক্যাচটি না ধরলে ভালো হতো। দুই রান হলে বিজয় শঙ্কর স্ট্রাইকে থাকতো। ওই সময়টায় চিন্তা বেশি এসেছে যে শেষ বল, পাঁচ রান দরকার কি করা যায়। সেই সময় আমার কারও দিকে মনোযোগ ছিল না। মুশফিক ভাই বলেছে ওয়াইড ইয়র্কার কর।’
মুশফিকের কথা মেনে ওয়াইড ইয়র্কার দিয়েও শেষরক্ষা হয়নি,
‘আমি যদি ওয়াইড ইয়র্কার মারি তাহলে খুব বেশি হলে চার হবে। ব্যাটে ভালোভাবে লাগলে কাভারের উপর দিয়ে চার হওয়ার সুযোগ। এরপরেও আমি সেফ থাকছি। এটাই আমার লক্ষ্য ছিল।’
more
বল বাই বল লাইভ স্কোর পেতে আর নয় বিদেশি অ্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক খবর এবং বল বাই বল লাইভ স্কোর আপনার মুঠোফোনে পেতে এখনি প্লে-স্টোর থেকে BDCricTime সার্চ করে ডাউনলোড করুন বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেট অ্যাপটি। অথবা ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। ভালো লাগলে অবশ্যই রেটিং দিয়ে উৎসাহী করুন।